বিশেষ প্রতিনিধি(মোঃসোহাগ)
আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় করোনার অজুহাত দেখিয়ে লে অফ রেখে কৌশলে শ্রমিক ছাটাই করে শ্রমিকদের কর্মহীন করার পায়তারা করছে।
ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জনান আমরা মদিনা ফ্যাশন ক্রাফট সোয়েটার কারখানায় দির্ঘদিন যাবৎ চাকরি করছি, কারখানা কর্তপক্ষ আমাদের করোনার অজুহাত দেখিয়ে কারখানা গত ১ ডিসেম্বর লে অফ করেন এবং বলেন লে অফ শেষ হলে তোমরা কাজে পুনরায় যোগদান করিবে।
আমরা১৬ জানুয়ারি সকাল ৮ টায় কারখানায় কাজের উদ্দেশ্যে এসে দেখি কারখানার গেটের সামনে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয় লিং কিং ও ট্রিমিং সেকশন বন্ধ করা হয়েছে। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান আমাদের ৪৫ দিনের বেসিক সমপরিমাণ মজুরি প্রদান করা হবে। এবং শ্রম আইন অনুযায়ী আমাদের যাবতীয় দেনা পাওনা পরিশোধ করা হবে। আমরা কারণ জানতে চাইলে আমাদেরকে বলা হয় তোমাদেরকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করেছে। আমরা আমাদের পাওনাদির কথা বললে,এডমিন থেকে বলে উপরমহল থেকে যখন দেওয়া হবে তখন তোমাদেরকে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে তোমাদের পাওনাদি দিয়ে দেওয়া হবে। ভুক্তভোগী শ্রমিকরা নিরুপায় হয়ে পরবর্তীতে শ্রমিক ফেডারেশনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ইউনাইটেড ফেডারেশন অফ গার্মেন্টস ওয়ার্কাস (ufgw)’ এর সাভার-আশুলিয়া কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা ইমন শিকদার বলেন,কারখানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ লে অফ করতে পারে, মদিনা কর্তপক্ষ যদি এই শ্রমিকদের ছাটাই করতে চায় তাহলে ২০ ধারা অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শ্রমিক আইনগত পাওনাদী বুঝিয়ে দিয়ে ছাটাই করবে। অন্য শ্রমিকদের ছাটাই করার পায়তারা করলে আমরা শ্রমিকদের পাশে থেকে লড়াই সংগ্রাম করে হলেও শ্রমিকের ন্যায্য দাবী আদায় করবো এ ব্যপারে সব যায়গা আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
অপর শ্রমিকনেতা আল মামুন মন্ডল বলেন, কারখানা কর্তপক্ষ শ্রম আইনকে ব্যবহার করে শ্রমিকদের সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে শ্রমিকদের ছাটাই করতে হলে শ্রমিকদের সর্বচ্চো পাওনাদী দিতে হবে।
এ ব্যপারে কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান আমাদের কারখানায় কাজের অর্ডার নেই মালিকের অবস্থা ভালো না আমরা আইননুসারে কারখানা লে অফ করেছি লে অফের পাওনাদী দ্রুত দেওয়া হবে এবং যে সকল সেকশন বন্ধ করা হবে আমরা তাদের আইননুসারে সকল পাওনাদী নোটিশের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিবো